আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ১৭ই রবিউল আউয়াল, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর নাতি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ইসলামের মহান নবী সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেয়ী'র বক্তব্য থেকে কয়েকটি উক্তি নিম্নরুপ:
♦ইসলামের নবী ছিলেন সকল কল্যাণের শিক্ষক। তিনি ইতিহাসের শেষ অবধি ন্যায়বিচার, মানবতা, জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব ও মানবজাতির নিরন্তর বৃদ্ধি, বিকাশ এবং অগ্রগতির শিক্ষক। ৭/৫/২০০৪
♦মহান নবীর সত্তা হলো একটি ছায়াপথের মতো এবং যার মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার গুণাবলীর উজ্জ্বল বিন্দু। ২১/৩/২০০৬
♦নবী হলেন একটি নিখুঁত পরিপূর্ণ সত্তার উদাহরণ, আল্লাহ তাঁর অস্তিত্বের জগতে এর চেয়ে নিখুঁত সত্তা আর তৈরি করেন নি। তিনি সমগ্র মানবজাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী এবং মানবজাতির পথের উজ্জ্বল আলো। ২১/৩/২০০৬
♦নবীর চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য হলো তিনি দরিদ্র, দুর্বল এবং অনুরূপ লোকদের সাথে মিশতেন। তিনি বাহ্যিক জিনিস এবং দৃশ্যত গৌরব ও জাঁকজমক সৃষ্টিকারী জিনিসগুলোকে গুরুত্ব দিতেন না। ২৩/৯/২০২০
♦নবীর মধ্যে, মানুষের সেবা করা আল্লাহর ইবাদাতের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ২১/৩/২০০৬
♦নবী ছিলেন পবিত্র; ইসলাম-পূর্ব আরবের সেই কলুষিত নৈতিক পরিবেশে, যৌবনে, সেই মহান ব্যক্তি তার সততা এবং বিনয়ের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। ১২/৫/২০০০
♦নবী (সাঃ) দাওয়াত ও জিহাদের ক্ষেত্রে এক মুহূর্তের জন্যও পিছপা হন নি এবং শক্তিমত্তার সাথে তিনি ইসলামী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যান যতক্ষণ না এটি সম্মান ও শক্তির শীর্ষে পৌঁছে। ২৭/১১/১৯৯১
♦ইসলামী সমাজের মুসলমানদের একে অপরের প্রতি উদাসীনতার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের একটি অধ্যায় ছিল উদাসীনতার পরিবেশকে-ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং ভ্রাতৃত্বের পরিবেশে রূপান্তরিত করা এবং একে অপরের সাথে সহযোগী দল তৈরি করা। ২০/১০/১৯৮৯
♦সর্বদা সকল পরিস্থিতিতে, আল্লাহকে স্মরণ করা, আল্লাহর ওপর নির্ভর করা, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা; এটাই আমাদের জন্য নবীর মহান শিক্ষা। ২৭/১১/১৯৯১
♦নবীর শাসন নীতি ছিল নিম্নরূপ: শত্রুর প্ররোচনা মোকাবেলায় সতর্ক থাকা; বিশ্বাসীদের সামনে বিনয়ী হওয়া। ১২/৫/২০০০
♦আমরা মুসলিমরা যদি মহানবী (সা.)-এর ব্যক্তিত্বের প্রতি মনোযোগী হই, যদি আমরা শিক্ষা নেই, তাহলে আমাদের দ্বীন এবং আমাদের দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট। ১০/২/২০১২
Your Comment